odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Tuesday, 11th November 2025, ১১th November ২০২৫

ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বিশ্বের সকল মুসলিম ভাইবোনদের শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১ August ২০২০ ০০:১৯

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১ August ২০২০ ০০:১৯

 

ঢাকা, ৩১ আগস্ট, ২০২০ : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলিম ভাইবোনদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।
আগামীকাল শনিবার পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে আজ শুক্রবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এই শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘মহান আল্লাহর নিকট কুরবানি কবুল হওয়ার জন্য শুদ্ধ নিয়ত ও উপার্জন থাকা আবশ্যক। পাশাপাশি সকলেই সরকার নির্ধারিত স্থানে কুরবানী দেয়া ও কুরবানির বর্জ্য অপসারণসহ পশু ক্রয় থেকে শুরু করে প্রতিটি কার্যক্রম করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে করতে সচেষ্ট থাকবেন বলে আমি আশা রাখি। পবিত্র ঈদ-উল-আযহা সবার জন্য বয়ে আনুক কল্যাণ, সবার মধ্যে জেগে উঠুক ত্যাগের আদর্শ- মহান আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করি।’
তিনি বলেন, ‘এ বছর এমন একটা সময়ে ঈদুল-উল-আযহা অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন মহামারি করোনার ছোবলে বিশ্ববাসী বিপর্যস্ত। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অনেক মানুষই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এসব মানুষের কল্যাণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সকলকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘করোনা মোকাবেলায় সকলকে সচেতন হতে হবে এবং জীবনযাপনে ও চলাফেরায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নিজে সুস্থ থাকি, অন্যকেও সুস্থ রাখি-এটাই হোক এবারের ঈদুল আযহার সকলের অঙ্গীকার।’
তিনি বলেন, ‘মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। ‘আযহা’ অর্থ কুরবানি বা উৎসর্গ করা। ঈদ-উল-আযহা উৎসবের সাথে মিশে আছে চরম ত্যাগ ও প্রভুপ্রেমের পরাকাষ্ঠা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আঃ) কে কুরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অসীম আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা ইতিহাসে অতুলনীয়।’
আবদুল হামিদ বলেন, ‘কুরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়ার মনোভাব ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়। কুরবানির মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে আমাদের সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে। ত্যাগের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হলেই প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: