odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Tuesday, 11th November 2025, ১১th November ২০২৫

ক্রেতা বিক্রেতাদের পদচারনায় মুখরিত মুন্সিগঞ্জের মাওয়া মৎস্য আড়ৎ।

ahsanul islam | প্রকাশিত: ৩০ September ২০২০ ০৫:৪৮

ahsanul islam
প্রকাশিত: ৩০ September ২০২০ ০৫:৪৮

মোঃআহসানুল ইসলাম আমিন,মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

 

“আকর্ষণ সুস্বাদু পদ্মার ইলিশ”

বহু আলোচিত মাওয়া মৎস্য আড়ৎ প্রায় দুই যুগের ও বেশি আগে প্রতিষ্ঠিত মাওয়ায় এ পদ্মা পাড়ের মাওয়া মৎস আড়ৎ হিসেবে পরিচিত।

ভোরের আলো ফোটার আগেই ক্রেতা বিক্রেতাদের পদচারনায় মুখরিত মুন্সিগঞ্জের মাওয়া মৎস্য আড়ৎ।

ঢাকাসহ দেশের দূর দূরান্ত থেকে মাছের পাইকাররা এখানে ভোররাত ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত মাত্র দুই ঘন্টা বেচাকেনা হয়।ক্রেতা বিক্রেতাদের পদচারণে মুখোরিত মুন্সিগঞ্জের মাওয়া  মৎস্য আড়ৎ। ইলিশ ছাড়াও দেশী প্রজাতির নানা রকমের মাছ পাওয়া যায় মৎস্য আড়তে।

ফরমালিনমুক্ত তাজা কিনতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসে ক্রেতারা।ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের মাওয়া বাজার রোড ঘেঁষে বৃহৎ মৎস্য আড়তে অনেক দুর দুরান্তর থেকে আসে পদ্মার সুস্বাদু ইলিশ,ফরমালিনমুক্ত তাজা মাছ কিনতে।

মা ইলিশ রক্ষায় ১৪ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর ২৩ দিন ইলিশ শিকার নিষিদ্ধ হচ্ছে।

ভারতে ইলিশ রফতানির কারণে ইলিশের দাম বেড়েছে।

মুন্সীগঞ্জ মাওয়া মৎস্য আড়তের কয়েক জন মৎস্য ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপকালে তারা জানান ফরমালিনমুক্ত তাজা পদ্মার ইলিশ এই আড়তে পাওয়া যায়, তাই ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি।

বড় আকারের প্রতিকেজি ইলিশ ১১শত টাকা, মাঝারি ৯ শত টাকা ও ছোট আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬ শত টাকা দরে।

নানান সমস্যায় জর্জরিত মাওয়া মৎস্য আড়ৎ,জায়গা কম এবং প্রবেশের রস্তাটি সরু কর্দমাক্ত হওয়াতে বিড়ম্বনা পড়েন ক্রেতা বিক্রেতারা,ব্যবসায়ীদের মৎস্য আড়ৎ সমিতি থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখেও দেখেনা ।

একটু বৃষ্টি হলে পুরো আড়তে এক হাটু কাদা জমে যায়। ফলে সড়ক রোধ করে পেটের দায়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা করতে হয় মৎস্য ব্যবসায়ীদের।

অনন্য দিকে মৎস্য আড়তটির পার্সেই বাজার রোড সেটি মাসের পড় মাস পানি জমে থাকায় প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। এখানে কোন ধরণের ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তা পারা পারের যান বাহন চলাচলের বিগ্ন ঘটছে মারার্ত্তক ভাবে। এতে এলাকাবাসীর সাথে কথা হলে জানা যায়, যে দৈনন্দিন একটি অর্থবহ প্রতিষ্ঠান হলেও উন্নয়নের কাযক্রম রয়েছে।শূন্যের কোঠায় আড়তে আসা ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে দৈনদিন যাতায়াত ভাড়া আদায় করা হয় তুলনায় অনেক গুন বেশি।

এ ব্যাপারে মৎস্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, সড়ক ঘেঁষে বৃহৎ মৎস্য আড়তটি থাকায় প্রতিমহুর্ত বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে যে কেউ। এ ব্যাপারে কোন ব্যবসায়ীরা মিলে প্রতিবাদ করলে উন্নতি হইত। অহরহ, সকলে নিরবতা পালন করে আসছে তাই।নেই কোন টয়লেট পরিস্কার ও বিশ্রাম ছাউনি, মৎস্য আড়তের এই বেহাল দশা দেখে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা।

আড়তে প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৫০ টন ইলিশ বিক্রি হয়। আর এখানে জীবিকানির্বাহ করেন প্রায় পাঁচ হাজার এর মতন পরিবার।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: