odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 7th November 2025, ৭th November ২০২৫
বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত

শাস্তি পেলেন সহকারী সচিব আমীর হামজা

আহসানুল ইসলাম আমিন | প্রকাশিত: ১৯ July ২০২৩ ১৮:৫৩

আহসানুল ইসলাম আমিন
প্রকাশিত: ১৯ July ২০২৩ ১৮:৫৩

ডেক্স নিউজ :

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদান না করা এবং বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তি পেয়েছেন বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত থাকা বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সাবেক সহকারী কমিশনার বীর আমীর হামজা। শাস্তি হিসেবে দুই বছর বেতন বাড়বে না এ সহকারী সচিবের। 

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্‌ উদ্দিন চৌধুরী সই করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। 

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সাবেক সহকারী কমিশনার এবং বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত থাকা বীর আমীর হামজার বিরুদ্ধে যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে বিধি মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদান না করা এবং বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা মোতাবেক ‘অসদাচরণ’ ও  ‘পলায়ন’ এর অভিযোগে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়। এরপর অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী প্রণয়ন করে তার কাছে পাঠানো হয়। 

তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লিখিত বক্তব্য জমা দেন এবং ব্যক্তিগত শুনানির জন্য ইচ্ছা পোষণ করেন উল্লেখ করে এতে জানানো হয়, সে পরিপ্রেক্ষিতে ২৭/০২/২০২২ তারিখে ব্যক্তিগত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ব্যক্তিগত শুনানি শেষে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্তের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনা ‘পলায়ন’ এর অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। 

তবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে বিধি মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদান না করা এবং বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় আইনসংগত কারণ ছাড়া সরকারের আদেশ, পরিপত্র এবং নির্দেশ অবজ্ঞাকরণের কারণে বিধিমালা অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।  

এতে আরও জানানো হয়, নথি, তদন্ত প্রতিবেদন ও প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি পর্যালোচনায় দেখা যায়, বীর আমীর হামজার বিরুদ্ধে রুজু করা বিভাগীয় মামলায় আনা ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই বিধিমালা অনুযায়ী তিনি শান্তি পাওয়ার যোগ্য। বিধিমালার ৪ (২) (খ) বিধি অনুযায়ী তার পরবর্তী বেতন বৃদ্ধির প্রাপ্যতার তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখার লঘুদণ্ড দেওয়া হলো। ভবিষ্যতে বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি এর জন্য কোনো বকেয়া সুবিধা প্রাপ্য হবেন না।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: